হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর ভারত সীমান্তের খোয়াই এলাকায় পাওয়া গেল জহুর আলী (৫২) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ ও বিজিবি। পরে ছবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।
জহুর আলী চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢোলনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার গুলশানের বসুন্ধরায় ডিএনসি লি. নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতেন।
জহুর আলীর স্ত্রী সুফিয়ান জানান, গত শনিবার ৫ দিনের ছুটিতে বাড়ি আসেন জহুর আলী। পরদিন রবিবার সন্ধ্যায় বিক্রির উদ্দেশে ৮টি লুঙ্গি নিয়ে বাসা থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতের ছেলে অলি মিয়া বলেন, ‘ভারতের সাংবাদিকরা ফেসবুকে লাইভ দিয়েছেন। সেখানে দেখলাম আমার বাবার মরদেহ। পরে বিজিবিও এসে আমাদের জানিয়েছে। এখন কীভাবে আমার বাবার মরদেহ ভারতে গেল বা কারা আমার বাবাকে মেরেছে সেটি নিশ্চিত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিছু চাই না, শুধু আমার বাবার মরদেহ ফেরত চাই। সরকার যেন দ্রুত আমার বাবার মরদেহ আমাদের কাছে এনে দেয়।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তবে মরদেহ বর্তমানে ভারতের খোয়াই পুলিশের কাছে আছে। তবে তার মৃত্যুর বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।’
তার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল জানান, জহুর আলী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সোমবার হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের গুইবিল বিওপির মানিকভান্ডার এলাকা দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। ওইদিনই সকাল ১০টার দিকে ভারতের খোয়াই থানার গৌড়নগর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খোয়াই থানায় খবর দেয়। খোয়াই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জহুর আলীর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা তদন্ত করছে বলে জানায় বিজিবি। তদন্ত শেষে মরদেহ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।